অলৌকিক বটগাছ (ভূতের গল্প) | Horror Story In Bengali | Bangla Bhuter Golpo 2021
অলৌকিক বটগাছ (ভূতের গল্প) | Horror Story In Bengali | Bangla Bhuter Golpo 2021
![]() |
Bangla Bhuter Golpo |
ঘটনাটা ঘটে আমার ভাইয়ের বন্ধুর সাথে ২০১৬ সালে। যার সাথে ঘটনা ঘটে তার নাম হল ভাস্কর ঘরামি। তিনি একটা বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করতেন। ব্যচেলার ট্যাগ কাটিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। মেয়ে দেখা কমপ্লিট ভাস্কর ভাইয়ের বাড়ির সবার মেয়েকে খুব পছন্দ হয়েছিল। এমন কি ভাস্কর ভাই নিজেও খুব মেয়েটাকে পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু এবিয়েতে মেয়ের বাবার মত ছিল না। আর না হলে মেয়ে পক্ষের সবার সহমত রয়েছে। হুট করে বিবাহ দিন ঠিক করা হয় তারপর বিবাহ কাজ সম্পন্ন করা হল।
তাদের বিবাহ জীবন বেশ ভালোই যাচ্ছিল। বিয়ের ২ বছর পর তাদের সংসারে নেমে আসে অসান্তির আগুন। পায়েল বৌদির (ভাস্কর ভাইয়ের বউ এর নাম পায়েল) পায়েল বৌদি খুব রাগি এবং ওনার যা বায়না সেটায় যেন মানতে হবে। প্রায় সময় ভীষন করে বায়না করা শুরু করে যেমন বড় ফ্ল্যাট, সোনার গয়না, অলংকার, এসব নিয়ে প্রায়দিনই তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হত। আর ভাস্কর ভাই সব বায়না পুরন করতে পারছিলেন না।
Bangla Bhooter Golpo
একদিন রাত ১০ টা দিকে ভাস্কর ভাই ও পায়েল বৌদির খুব বাজে ভাবে ঝগড়া শুরু হয়। এবং ঝগরা এমন পর্যায়ে চলে যায় বৌদি বাপের বাড়ি যেতে বাধ্য হয় ও ডিভোর্সের কথা বলে বসে। তাদের এক বছরের একটি মেয়ে রুপা কে নিয়ে চলে যায় বাপের বাড়ি। তখন রাত ১০:৩০ এর মত। ভাস্কর ভাইয়ের খুব কাছের বন্ধু ছিল আমার ভাই। তাই সাথে সাথে সব কথা আমার ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়ে জানায়। কিন্তু তখন ভাই এলাকায় ছিলেন না তাই ভাস্কর ভাইকে বললেন যে কাল এসে দেখবো কি করা যায়। চিন্তা করিস না.. ভাস্কর।
ভাস্কর ভাই পরিবারের সবার সাথে কথা বলে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয় এখুনি পায়েল বৌদির বাড়ি যাবে। পায়েল বৌদির বাড়ি গিয়ে পৌঁছতে প্রায় একঘণ্টা লাগলো। রাত ১২ঃ৩০ টার দিকে ভাস্কর ভাই চলল পায়েল বৌদিকে নিয়ে আসতে। ভাস্কর ভাই বৌদিদের বাড়ি যেতেই সেখানে গিয়েই দেখে সবার মাঝে খুব রাগ বিড়াজ করেছে। ভাস্কর ভাই সবাইকে সব কথা খুলে বোঝাতে চাচ্ছিলেন কিন্তু কেউই ভাস্করের কথা শুনল না। অনেকক্ষণ ধরে কথা বলার পরও কিছু হল না। বরং ধমক দিয়ে ভাস্কর ভাইকে বাড়ি থেকে বেড় করে দিল।
Bengali Horror Story
কিন্তু ভাস্কর ভাই বাড়িতে যাবেন না পায়েল বৌদিকে কে না নিয়ে। তারপর ভাস্কর ভাইকে তারা একটু মারধর করে। তারপর ভাস্কর ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেই। ভাস্কর ভাই ভীষন্ন মনে গভীর রাতে পায়েল বৌদিদের বাড়ি থেকে চলে আসতে লাগল। তখন রাত প্রায় ৩ টা। এত রাতে কোন গাড়ি ছিল না। তাছাড়া যে রাস্তা দিয়ে এসেছিলেন, সেই রাস্তা দিয়ে হেটে আসলে অনেক সময় লাগবে।
তাই হ সর্টকার্ট রাস্তা ধরে হেটে হেটেই বাড়ির জন্য রহনা দিলেন। কিন্তু ভাস্কর ভাই যে রাস্তা দিয়ে চলছে। সে রাস্তায় যেতে যেতে বড় একটা বটগাছ পরে। আর সেই বটগাছ নিয়ে অনেক ভৌতিক কাহিনি আছে। এলাকার অনেক মানুষ নাকি ঐ বটগাছের নিচে অদ্ভুদ কিছু দেখেছে। এবং সেখানে নাকি বাজে ধরনের কিছু ঘটেছে। কিন্তু ভাস্কর ভাই তার শশুরবাড়ির এই বটগাছ কে নিয়ে আজব ঘটনা জানত না। তাছাড়া সেদিন রাতে ভাস্কর ভায়ের মন ভীষন খারাপ ছিল। আর এত রাতে সেই রাস্তায় মানুষ তো ছার কোন কুকুর ও ছিল না।
New Bangla Bhuter Golpo
ভাস্কর ভাই নিরব মনে হেটে হেটে অনেকটা দূর চলে আসলো। আসতে আসতে যখন সেই ভৌতিক বটগাছ এর কাছে আসে। তখন ভাস্কর ভাই অনুভব করলো তার পিছন পিছন হয়তো কেউ আসছে। তিনি সেই মানুষটাকে দেখার জন্য পিছনও ঘুরলো কিন্তু ঘুরতে কিছুই দেখতে পেলেন না। যেমন ফাঁকা রাস্তা ধরে তিনি এসেছেন রাস্তাটা তেমনি আছে। কিন্তু তিনি স্পষ্ট শুনতে পেল কারো হাঁটার আওয়াজ। ভাস্কর ভাই তখন খুব অসসস্তি বোধ করছিল। তার মনে হচ্ছে কেউ যেন তাকে ফলো করছে। ভাস্কর ভাই তখন একটু একটু ভয় ভয় পেতে লাগলো। তখন তার মাথায় অন্য চিন্তা ঘোর পাক খাচ্ছিল। তাই একটা সিগারেট ধরিয়ে আবার হাটাঁ শুরু করলেন।
কিন্তু আজব-হঠাৎ করে ভাস্কর ভাই স্পষ্ট শুনতে পেলেন তাকে কেউ তার নাম ধরে ডাকলো। গলার কন্ঠ ধরতে পারলেন না। খুব বাজে ভয়ানক সুরে ডাকছিল। কন্ঠ শুনে ভাস্কর ভাই একটু ভয় পেয়ে গেলেন এবং পিছন ফিরলেন কিন্তু পিছনে কেউ নেই। ভাস্কর ভাই তখন আরো ভয় পেতে শুরু করে। কিচ্ছুক্ষণ হাঁটার পর এক দমকা হাওয়ায় ভাস্কর সেখনেই স্থির হয়ে দাড়িয়ে পড়ে। তার চেনা জানা সকল কাছের মানুষের গলার ডাক শুনতে পারছে। ভাস্কর ভয়ে তার হাঁটার গতি বারালো। হঠাৎ সামনে অনেক বড় এক ছাওয়া এক বিরাট শরির দারিয়ে একপা বটগাছে অন্য পা বটগাছের অপর প্রান্তে। এক কথায় পুরো রাস্তা ব্লক করে দাড়িয়ে আছে এক ভয়ংকর বড় শরির। সেই ভয়ঙ্কর শরির টি স্থির হয়ে আছে। কিছু বলছে ও না। কিছু করছে ও না। হঠাৎ ঘরঘর কন্ঠে শরির টা বলল তার পায়ে নিচ দিয়ে যেতে। না হলে যেতে দিবে না। আর অভয়ব ভাই এসব ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তিনি সেই শরিরের পায়ের নিচে দিয়ে চলে আসলেন বাড়িতে।
নতুন বাংলা ভূতের গল্প
বাড়িতে পৌঁছে শশুর বাড়ির কাহিনি আর সেই বিশাল শরিরের ভয়ানক কথা সবাই কে বলেন। ভাস্কর ভাইয়ের মা ঘাবড়ে যায়। এসব ব্যাপারে টুকটাক জানতো ভাস্কর ভাইয়ের মা। তাই তিনি কি কি দিয়ে যেন ভাস্কর ভাই কে স্নান করালেন সেই রাতে। আর না খেতে বলে। কিন্তু ফরহাদ ভাই খুবই ক্ষুদার্থ ছিলেন তাই তিনি। শুটকি মাছ দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরে। পরেরদিন সকালেই ভাস্কর ভাইয়ের অসম্ভব জ্বর আসে। ডঃ এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু অবাক ব্যাপার তিনি তখন আবার দিব্যি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তারপর ভাস্কর ভাইকে নিয়ে সবাই আবার বাড়ি চলে আসেন। ঠিক সেই রাতেই ভাস্কর ভাই তার রুমের মধ্যে একা একাই চ্যাঁচ্যাঁতে থাকেন। আসে পাশের সবাই অত রাতে তার চিল্লানোর আওয়াজ শুনে দৌরে যায়। গিয়ে যা দেখে, তার শরীর পুরোটা আছরানো। বাগ জীবজন্তু সীকার করলে যেমন আছরে ফেলে তেমন। আর তার নাক, মুখ, কাঁন দিয়ে রক্ত বেড়িয়ে আসছে। তিনি সবার সামনেই মারা যান। আর পরিবারে এবং পাড়ার সবাই জানতে পারাতে সবাই দোষারপ করে সেই বটগাছ কে। ভাস্কর ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ নাকি সেই অলৌকিক বটগাছ।