শিক্ষক দিবস 2022: Teachers Day Speech In Bengali [PDF]

শিক্ষক দিবস বক্তব্য ২০২২, শিক্ষক দিবসের ভাষণ পিডিএফ [Teachers Day Speech In Bengali 2022, Speech On Teachers Day In Bengali PDF] (5th September Speech In Bengali, Teachers Day Bengali Speech PDF Download)

আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২২ শিক্ষক দিবস এবং ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর জন্মদিন। তাই তাঁর জন্মদিন এবং শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমরা নিয়ে এসেছি Teachers Day Speech In Bengali PDF, যেটা আপনি আপনার স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট সমস্ত জায়গায় বক্তিতা হিসেবে ভাষণ দিতে পারেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমরা এই লেখাটি সংগ্রহ করেছি Writing With Debika ইউটিউব চ্যানেল থেকে। তো যারা এরকম আরো সুন্দর লেখা পেতে চাও তারা চ্যানেলটি ঘুরে আসতে পারো। এই পোষ্টের নীচে লিংক দেওয়া আছে।

Teachers Day Speech In Bengali

Teachers Day Speech In Bengali

কথায় বলে জীবনে যিনি প্রথম আলো দেখান তিনি প্রথম গুরু। যে মানুষটি হাত ধরে সমস্ত বাধা বিপত্তি টালতে করতে সাহায্য করেন তিনি দ্বিতীয় আর অবশ্যই হাজার চড়াই উতরাই পার করতে জীবনের জ্ঞান সমৃদ্ধ করার চেষ্টায় যিনি আমাদের প্রতিনিয়ত নানাভাবে সাহায্য করে চলেছেন তিনি শিক্ষাগুরু। ছোটোবেলা থেকে সবাই শিক্ষকের প্রতি এক অগাধ শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসা নিয়েই পথ চলতে শুরু করে।

আজ ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। সমস্ত শিক্ষকদের প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাচ্ছি। ভারতবর্ষের ইতিহাসে ৫ই সেপ্টেম্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। আমাদের জীবনে সমাজ ও দেশে শিক্ষকদের অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে প্রতি বছর এই দিনে ভারতে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে থাকে।

এই দিনটি সম্পর্কে জানতে গেলে একজনের কথাই আমাদের মনে আসে যিনি হলেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। আমরা সবাই জানি ৫ই সেপ্টেম্বর ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর জন্মদিন। ১৮৮৮ সালে আজকের দিনে তামিলনাড়ুর তিরুটানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, সর্বোপরি একজন প্রকৃত শিক্ষক। যিনি তাঁর জীবনের ৪০ বছর শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি ছাত্রদের জীবনে শিক্ষকদের অবদান এবং ভূমিকার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি দেশের অনেক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বানারস, চেন্নাই, কলকাতা, মহীশূর এবং লন্ডনের অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন শিক্ষা দিয়েছেন।

তিনি বিশ্বাস করতেন একজন শিক্ষক এমন একজন ব্যাক্তি যিনি যুব সমাজকে দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে প্রস্তুত করেন। এই কারণেই তিনি অধ্যাপকের এই দায়িত্ব এত আন্তরিকতার সাথে পালন করেছেন এবং সর্বদা তাঁর ছাত্রদের ভালো মূল্যবোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। শিক্ষকতা পেয়ায় সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫৪ সালে ভারতরত্ন সম্মান পান।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ৫ই সেপ্টেম্বর দিনটিতে তিনি যখন নিজের কার্যালয়ে পৌঁছোচ্ছিলেন যেখানে তাঁর কিছু গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধু আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন তাঁর জন্মদিন পালন করবেন বলে। তবে তিনি কার্যালয়ে পৌঁছানো মাত্রই জানিয়ে দেন কোনোরকম সেলিব্রেশন তিনি করতে চান না। তবে তিনি তাঁর ছাত্রদের এটাও বলেন, এই দিনটিকে বিশেষ করে রাখতে ৫ই সেপ্টেম্বর দিনটা দেশের শিক্ষকদের উৎসর্গ করা হোক তবে তিনি অধিক সম্মানিত বোধ করবেন। সেই থেকে শুরু হয় শিক্ষক দিবস পালন করা যা এখনো সকল ভারতবাসী তাঁকে এবং সমস্ত শিক্ষকদের সম্মান জানানোর জন্য পালন করে থাকে।

ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ বলেছিলেন – দেশের সবথেকে সেরা মস্তিষ্কের অধিকারী হলেন একজন শিক্ষক। শিক্ষকরাই তৈরি করেন আগামীর ভবিষ্যৎ এক উন্নত দেশ।

শিক্ষক দিবস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রচেষ্টা এবং কাজের প্রতি শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসেবে উদযাপন করি। একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। শিক্ষকতা পেশা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি, কারণ তাদের রয়েছে তরুন্দের শিক্ষিত করার দায়িত্ব। তাই সমাজের মেরুদণ্ড হলেন শিক্ষক। একমাত্র শিক্ষকরাই পারেন এই সমাজকে সঠিক পথে চালনা করতে।

শিক্ষক যে শুধুমাত্র পড়াশোনার ক্ষেত্রেই হবে তা নয়। তিনি থাকতে পারেন জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রেই। একজন আদর্শ শিক্ষক সবসময় তাঁর ছাত্রদের স্বার্থকে বিবেচনায় চেন এবং তাদের যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দেন। তিনি যে পড়ুয়াকে শুধু শেখাবেন তা নয়, তিনি তাঁকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেবেন। ব্যর্থতায় পাশে দাড়িয়ে উৎসাহ দেবেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেবেন। তিনি তাঁকে শুধু সফল নয়, সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হতে শেখাবেন।

একজন শিক্ষককে মোমবাতির সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে, কেননা মোমবাতি যেমন নিজে পুড়ে অন্যের পথ প্রদর্শন করে। তেমনি শিক্ষক সারাজীবন ধরে তাঁর মেধার মাধ্যমে শিক্ষাদান করে অন্যের পথ প্রদর্শন করে। তাই একজন সফল মানুষের পেছনে একজন শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।

প্রতি বছর ছোট বড়ো সকলেই নিজেদের সাধ্যমতো শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ফুল, চকলেট, গিফট, আরো কত কিছুর আয়োজন করা হয়। এই একটা দিন শিক্ষকদের থেকে কোনও বকাঝকা নেই এককথায় তাদের ভয় পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আনন্দ অনুষ্ঠান তাঁর সাথে খাওয়া দাওয়া হই হই করে কেটে যায় গোটা দিন। সঠিক শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত হোক সব ক্ষুদ্র প্রাণ। একদিন তাদেরই বেরে ওঠায় নতুন আশা পাক বিশ্বের আনাচ-কানাচ।

কিন্তু এই একদিনের ভালোবাসা সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষকদের সঠিক সম্মান প্রদর্শন করা হয় না। একজন শিক্ষক তিনি সবসময়ের জন্যই শিক্ষক। শিক্ষক ছাড়া যোগ্য সমাজ ও উজ্জ্বল জীবন কল্পনাতীত। প্রতিটা দিনই প্রত্যেকটা শিক্ষককেই সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা উচিত।

তাই শিক্ষকদের সম্মান শিক্ষক দিবসের একটা দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা উচিত নয়। প্রতিটা দিনই আমাদের শিক্ষক দিবস মনে করা উচিত। তবেই শিক্ষকদের আসল সম্মান প্রদর্শন করা যাবে।

আজকের এই বক্তব্যটি ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম-এর একটি উক্তি দিয়ে শেষ করছি –

“Teaching is a very noble profession that shapes the character, caliber, and future of an individual. If the people remember me as a good teacher, that will be the biggest honour for me.”

অর্থাৎ, শিক্ষকতা খুব মহান একটি পেশা যেটা কারোর চরিত্র, ক্ষমতা এবং ভবিষ্যৎ গঠন করে। যদি মানুষজন আমাকে একজন ভালো শিক্ষক হিসেবে মনে রাখে তাহলে এটাই হবে আমার কাছে সবচেয়ে বড়ো সম্মান।

ধন্যবাদ।।

Download PDF

আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম আরো 5th September Teachers Day এর ওপর ভিত্তি করে রচনা, বক্তব্য, ছবি ও স্ট্যাটাস পোস্ট করা হবে। সেগুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুকমার্ক করে রাখুন। অথবা গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন Banglaalyrics ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
close